রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং এর ইতিহাস ও মূলনীতি ।
- Get link
- X
- Other Apps
আমরা রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং এর ইতিহাস ও মূলনীতি নিয়ে আলোচনা করব?
তো চলুন প্রথমে রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং এর ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করি
ইতিহাস:
মানুষ পৃথিবীতে স্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে আরামদায়ক স্থান খুঁজে ছিল। এক সময় বরফের সন্ধান পেয়ে প্রচন্ড গরমের তুলনায় আরামদায়ক অবস্থা বা নাতিশীতােষ্ণ মণ্ডলের সন্ধান পেয়ে স্বস্তি পেয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে বেফ্রিজারেশনের আদি ইতিহাস এই সময় হতে শুরু হয়।
বরফ |
প্রাকৃতিক বরফের অভাব ছিল না কিন্তু কতকগুলাে অসুবিধার কারণে প্রাকৃতিক বরফ দ্বারা রেফ্রিজারেশনের ব্যবহার ছিল সীমিত। প্রাকৃতিক বরফের উপর নির্ভরতা কমাতে কৃত্রিমভাবে বরফ তৈরির কৌশল নিয়ে ভাবতে থাকেন। অন্তত একজন গবেষক উদ্ভাবন করেন নিম্ন তাপমাত্রায় বরফের সংস্পর্শে পানিও বরফ হয়। অর্থাৎ পানির সংস্পর্শে এমন একটি উদ্বায়ী পদার্থ রাখতে হবে যার উদ্বায়ী তাপমাত্রা বরফের তাপমাত্রার নিচে।উনবিংশ শতাব্দীর গােড়ার দিকে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ আবিষ্কৃত হবার এক পর্যায়ে বর্তমানে রেফ্রিজারেন্ট বা হিমায়ক আবিষ্কার হয়, যা রেফ্রিজারেশন পদ্ধতির আবিষ্কারের পথ খুলে যায়।১৯১০ সালের প্রথম দিকে মেকানিক্যাল বা ভেপার রেফ্রিজারেশন পদ্ধতি দেখা যায়। উক্ত পদ্ধতির মাধ্যমে বাস্পীভূত রেফ্রিজারেন্টকে তরল করে আবদ্ধ চক্রে পুনঃপুন ব্যবহার করা হয়।
১৯১৩ সালে জে, এম, লার্সেন (J. M.Larsen) একটি হস্তচালিত কম্প্রেসরযুক্ত রেফ্রিজারেশন যন্ত্র তৈরি করেন যা বাস গৃহে ব্যবহার করা হত। হস্তচালিত পদ্ধতির কারণে এটি উন্নয়নের প্রয়ােজনীয়তা দেখা যায়।
১৯১৮ সালে বৈদ্যুতিক মােটরচালিত ওপেন কম্প্রেসরযুক্ত রেফ্রিজারেশন আমেরিকার বাজারে "কেলভিনেটর" কোম্পানি নামে বের হয়।
১৯২৮ সালে "সীন্ড বা হার্মেটিক" অটোমেটিক রেফ্রিজারেটর ইউনিট "জেনারেল ইলেকট্রিক" চালানাের জন্য প্রয়ােজনীয় বিদ্যুৎ শক্তির উপর নির্ভরতা কীভাবে কমানাে যায় তা নিয়ে গবেষণা চলতে থাকে, এবং মেকানিক্যাল বা অ্যাবজপশন (Absorption) রেফ্রিজারেশন পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়। যার অন্য নাম " মনিটর টপ"।
১৯২৭ সালে ইলেকট্রোলাক্স কোম্পানি অটোমেটিক ডােমেস্টিক অ্যাবর্জপশন" ইউনিট উপহার দিয়ে ছিলেন যা অত্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী। তা চালানাের জন্য প্রয়ােজনীয় তাপ শক্তি যে কোন তাপের উৎস হতে গ্রহণ করা হত। যেমন- বিদ্যুৎ, জ্বালানি।
১৯২০ সালের শেষ দিকে মেকানিক্যাল রেফ্রিজারেশন পদ্ধতিকে হীটিং পদ্ধতির সঙ্গে সংযােগ করে গ্রীষ্মকালীন কুলার তৈরি করা হয়।
১৯২৯ সাল পর্যন্ত রেফ্রিজারেশন পদ্ধতির ব্যবহার ছিল মূলত বরফ তৈরি, পানীয় ঠাগডাকরণ এবং খাদন্রব্য সংরক্ষণের উপর সীমাবন্ধ। কোন কোন ক্ষেত্রে গ্রীষ্মকালে এয়ারকন্ডিশনার ব্যবহৃত হত।
১৯৩০ সালের শেষের দিকে অটোমােবাইল এয়ারকন্ডিশনিং গাড়ীর মধ্যে অল্প প্রসার লাভ করে।
১৯৪০ সালে বাস গৃহে ব্যবহৃত ইউনিটগুলাে হার্মেটিক টাইপে রূপান্তরিত করা হয় এবং বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও সন্তোষজনক। বড় বড় বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে খাদ্যসামগ্রী সংরক্ষণে এবং বড় বড় কমফোর্ট কুলিং প্ল্যান্টে ব্যবহার করা হয়।
রেফ্রিজারেশন পদ্ধতির মূলনীতি:
Refrigerate শব্দের অর্থ "হিমায়িত করা বা তাপ আহরণ করা।" মূলত রেফ্রিজারেট শব্দ হতে রেফ্রিজারেশন (Refrigeration) কথাটি এসেছে। রেফ্রিজারেশনের অর্থ হিমায়ন। এটি হিমায়ন পদ্ধতি তথা শীতলায়ন পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত।
অর্থাৎ কোন বাহ্যিক শক্তি প্রয়ােগ দ্বারা বায়ু বা পানির মাধ্যমে কোন স্থান, প্রকোষ্ঠ, খাদ্যসামগ্রী প্রভৃতি তাপ উৎপাদনকারী উৎস হতে তাপ শােষণ করে অপেক্ষাকৃত নিম্ন তাপমাত্রায় আনয়ন করার পদ্ধতিকে বেফ্রিজারেশন বা হিমায়ন পদ্ধতি বলে।
হিমায়ন পদ্ধতি প্রধানত ২ প্রকার, যথা
১। প্রত্যক্ষ হিমায়ন পদ্ধতি ও
২। পরােক্ষ হিমায়ন পদ্ধতি
তাপ সঞ্চালনের উপর ভিত্তি করে হিমায়ন আবার ২ প্রকার, যথা-
(ক) পরিচলন হিমায়ন পদ্ধতি ও
(খ) পরিবহণ হিমায়ন পদ্ধতি।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment.