Posts

Showing posts from February, 2022

রিলে এবং ওভারলোড ভালো নাকি খারাপ তা চেক করার নিয়ম

Image
  সাধারণত রিলে কয়েক ধরনের হয় এবং এর দু'টি পয়েন্ট থাকে। ১.স্ট্যাটিং পয়েন্ট। ২.রানিং পয়েন্ট। এক ধরনের রিলের পেছনে দুটি পয়েন্টই উল্লেখ করা থাকে। আবার কোনোটাতে শুধু রানিং পয়েন্ট থাকে। আর ওভারলোডে সাধারণত রানিং পয়েন্টে সংযোগ দিতে হয়। রিলে চেক করতে অ্যাভোমিটারের ইনপুট কাটা ওমস্ এ রেখে আউটপুট কাটা দুটো একটি স্ট্যাটিং এবং একটি রানিং পয়েন্টে ধরলে দেখা যাবে মান দেখাবে। যদি মান না দেখায় তবে বুঝতে হবে এটা নষ্ট। ওভারলোডঃ ওভারলোড কয়েক ধরনের হয়। ওভারলোডের দুটি পয়েন্ট থাকে। ১. ইনপুট পয়েন্ট। ২.আউটপুট পয়েন্ট। আমরা যখন ওভারলোড সংযোগ দেই তখন ফেজ লাইন ইনপুট পয়েন্ট হয়ে আউটপুট পয়েন্ট হয়ে কম্প্রেসরের কমন পয়েন্টে লাগাতে হয়। ওভারলোড চেক করতে একটি অ্যাভোমিটার নিতে হবে। তারপর মিটারের ইনপুট কাটা ওমস্ এ রেখে আউটপুট কাটা দুটো ওভারলোড এর ইনপুট ও আউটপুট পয়েন্টে ধরলে দেখা যাবে মান দেখাবে। যদি মান না দেখায় তবে বুঝতে হবে এটা নষ্ট। আবার,এক ধরনের ওভারলোড কে নিন্মোক্ত পদ্ধতিতে চেক করা যায়ঃ ওভারলোড এর ইনপুট ও আউটপুট পয়েন্টে দুটো তার লাগাতে হবে। এখন সিরিজ সার্কিটর ন্যায় একটি বৈদ্যুতিক বাল্বের দুই পয়েন্টে দুটো তার লাগাতে হ

রিলে কাকে বলে,কত প্রকার, কি কি, এর কাজ কি?

Image
  উ: রিলে একটি স্টার্টিং ডিভাইস। যার সাহায্যে কম্প্রেসসর মোটর স্টার্ট করা হয় তাকে রিলে বলা হয়। অবস্থানভেদে রিলে কয়েক প্রকার। ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরে এ  ২ প্রকার রিলে ব্যবহার করা হয়। ১ কারেন্ট কয়েল রিলে, ২ পি টি সি রিলে। ওয়ালটন রেফ্রিজারেট বা ফ্রিজে সাধারণত পি টি সি রিলে ব্যবহার করা হয়। কারেন্ট কয়েল রিলেতে ২টি কন্টাক্ট পয়েন্ট, ১টি সিলিন্ডার, ১টি ছোট পিস্টন এবং ১টি তারের কয়েল থাকে, কয়েলের২টি মাথার মধ্যে ১টি রিলের টার্মিনালে অন্যটি কম্প্রেসসর এর রানিং টার্মিনালের জন্য লাগানো হয়। কম্প্রেসসর চালু করলে রিলের কয়েল চুম্বক তৈরি করে,তখন রিলের পিস্টনটি উপরের দিকে উঠে স্টাটিং পয়েন্ট চালু করে।কম্প্রেসসর মোটর ৭৫% চালু হলে রিলের চুম্বক শক্তি কমে যায় এবং রিলের পিস্টন স্টাটিং পয়েন্ট ছেরে দেয়। কয়েল রিলে স্টাটিং পয়েন্ট না ছারলে মোটর পুরে যায়।এর ফলে এখন PTC রিলে বেশি ব্যাবহার করা হয়। PTC এর পুর্ণ রুপ হল,পজেটিব টেম্পারেচার কইফিসিয়েন্ট। পি টি সি রিলে কম্প্রেসসর এর রানিং এবং স্টাটিং টার্মিনালে সিরিজে সংজোগ করা থাকে। পি টি সি এর ভিতর দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হলে এটি গরম হয়ে যায়,আর গরম হলে কারেন্ট প্রবাহ বন্ধ হ

সোল্ডারিং, ব্রেজিং ও ওয়েল্ডিং কি ও কাকে বলে এবং সংজ্ঞা।

সোল্ডারিং কি ও কাকে বলে? 200 থেকে 400 ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় দুটি বা ততোধিক মেটালকে গলিয়ে ফিলার মেটালকে মিশ্রিত করে যে সকল সংযোগ করা হয়ে থাকে তাকে সোল্ডারিং বলা হয়। সোল্ডারিং সাধারণত 200 থেকে 400 ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় করা হয়ে থাকে । ব্রেজিং কি ও কাকে বলে? 450 থেকে 900 ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় দুটি মেটাল কে উত্তপ্ত করে ফিলার মেটালকে গলিয়ে জয়নিং স্থলে প্রবাহিত করে সংযোগ করা হয়ে থাকে তাকে ব্রেজিং বলে। বেজিংয়ের সময় বেজ মেটালকে উত্তপ্ত করা হয় আর সংযোগ প্রক্রিয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। ব্রাউজিংয়ের সময় ব্রেজিং টর্চ হে আগুনের তাপমাত্রা 450 ডিগ্রী থেকে 900 ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়ে থাকে। ওয়েল্ডিং কি ও কাকে বলে?  1050 ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে এর উপরের তাপমাত্রায় দুটি মেটাল কে লিয়ে ফিলার মেটাল ব্যবহার করে যে সকল সংযোগ করা হয়ে থাকে তাকে ওয়েল্ডিং বলা হয়। ওয়েল্ডিং প্রক্রিয়ায় সাধারণত বেজ মেটাল কে গলিয়ে ইলেকট্রোড রড এর মাধ্যমে সংযোগ করা হয়।

বর্তমানে ব্যবহৃত কিছু রেফ্রিজারেশন সাইকেল এর ব্যবহার ক্ষেত্র।

Image
  বর্তমানে রেফ্রিজারেশন সাইকেল এর প্রয়ােগক্ষেত্র ১.ফ্রিজার (Freezer) ২. ওয়াটার কুলার (Water Coolar) ৩.মিল্ক কুলার (Milk Coolar) ৪. রেফ্রিজারেটর (Refrigerator) ৫.সােডা ফাউন্টেইন (Soda Fountain) ৬. আইসক্রীম ক্যাবিনেট (Ice Cream Cabinate) ৭. ডিসপ্লে কেস (Display Case) ৮. আইস মেকার (Ice Maker) ৯. কৌন আইস মেশিন (Cone Ice Machine) ১০.ক্যান্ডি আইস ফ্যাক্টরি (Candy Ice Factory) ১১.আইসক্রীম ফ্যাক্টরি (Ice Cream Factory ১২. আইস প্ল্যান্ট বা বরফ কল (Ice Plant) ১৩.কোল্ড স্টোরেজ বা হিমাগার (Cold Storage) ১৪.ফিশ প্রিজার্ভার (Fish Preserver) ১৫.প্রসেসিং প্ল্যান্ট (Processing Plant) ১৬. ডেইরি ফার্ম (Dairy Firm) ১৭.ট্রাক বা ট্রান্সপাের্ট হিমায়ন (Track/Transport Refrigerator) ১৮.রুম এয়ারকুলার (Room Air Coolar ) ১৯. সেন্ট্রাল এয়ারকন্ডিশনিং প্লান্ট(Central Air Conditioning Plant). ২০.ডি-হিউমিডিফায়ার (De-humidifier) ২১. ইনকিউবেটর (Incubator), ইত্যাদি

এয়ারকন্ডিশনিং কি ও এর ইতিহাস এবং এর মূলনীতি।

Image
মানুষ পৃথিবীতে স্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে আরামদায়ক স্থান খুঁজে ছিল। এক সময় বরফের সন্ধান পেয়ে প্রচন্ড গরমের তুলনায় আরামদায়ক অবস্থা বা নাতিশীতােষ্ণ মণ্ডলের সন্ধান পেয়ে স্বস্তি পেয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে বেফ্রিজারেশনের আদি ইতিহাস এই সময় হতে শুরু হয়। প্রাকৃতিক বরফের অভাব ছিল না কিন্তু কতকগুলাে অসুবিধার কারণে প্রাকৃতিক বরফ দ্বারা রেফ্রিজারেশনের ব্যবহার ছিল সীমিত। প্রাকৃতিক বরফের উপর নির্ভরতা কমাতে কৃত্রিমভাবে বরফ তৈরির কৌশল নিয়ে ভাবতে থাকেন। অন্তত একজন গবেষক উদ্ভাবন করেন নিম্ন তাপমাত্রায় বরফের সংস্পর্শে পানিও বরফ হয়। অর্থাৎ পানির সংস্পর্শে এমন একটি উদ্বায়ী পদার্থ রাখতে হবে যার উদ্বায়ী তাপমাত্রা বরফের তাপমাত্রার নিচে।উনবিংশ শতাব্দীর গােড়ার দিকে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ আবিষ্কৃত হবার এক পর্যায়ে বর্তমানে রেফ্রিজারেন্ট বা হিমায়ক আবিষ্কার হয়, যা রেফ্রিজারেশন পদ্ধতির আবিষ্কারের পথ খুলে যায়।১৯১০ সালের প্রথম দিকে মেকানিক্যাল বা ভেপার রেফ্রিজারেশন পদ্ধতি দেখা যায়। উক্ত পদ্ধতির মাধ্যমে বাস্পীভূত রেফ্রিজারেন্টকে তরল করে আবদ্ধ চক্রে পুনঃপুন ব্যবহার করা হয়। ১৯১৩ সালে জে, এম, লার্সেন (J. M.L

হিমায়ন পদ্ধতি কত প্রকার ও কি কি এবং এর বর্ণনা?

Image
হিমায়ন পদ্ধতি সাধারণত দুই প্রকার। ১: প্রত্যক্ষ হিমায়ন পদ্ধতি ২: পরোক্ষ হিমায়ন পদ্ধতি তাপ সঞ্চালন উপর ভিত্তি করে হিমায়ন পদ্ধতি দুই প্রকার। ১: পরিবহন হিমায়ন পদ্ধতি ২: পরিচলন হিমায়ন পদ্ধতি বিভিন্ন প্রকার হিমায়ন পদ্ধতির বর্ণনা নিম্নরূপ- ১। প্রত্যক্ষ হিমায়ন পদ্ধতি (Direct refrigeration system) : তাপ শােষণকারী হিমায়ক কোন কোন ক্ষেত্রে সরাসরি তাপ শোষণ করতে পারে। এক্ষেত্রে তাপ সংগ্রহের জন্য একটি মাত্র হিমায়ক ব্যবহার করা হয়। বস্তু, স্থান, পদার্থ, প্রকোষ্ঠ প্রভৃতি হতে সরাসরি তাপ শােষণ করলে তাকে প্রত্যক্ষ হিমায়ন পদ্ধতি বলে। যেমন- কোন উত্তপ্ত পদার্থের সংস্পর্শে বরফ রাখলে পদার্থটি হতে বরফ সরাসরি তাপ শােষণ করে। হিমায়ন হিমায়ন অনুরূপভাবে রেফ্রিজারেটরের হিমায়ক সরাসরি ক্যাবিনেটস্থিত দ্রব্যসামগ্রীর তাপ বায়ুর মাধ্যমে শােষণ করে অন্যত্র অপসারণ করে। অর্থাৎ যে পদ্ধতির হিমায়ক সরাসরি বায়ু বা পানি হতে অথবা পানি-বায়ুর মাধ্যমে অন্য , বস্তু, পদার্থ বা স্থানের তাপ সংগ্রহ করে তাকে প্রত্যক্ষ হিমায়ন পদ্ধতি বলা হয়। ২। পরােক্ষ হিমায়ন পদ্ধতি (Indirect refrigeration) : কোন কোন ক্ষেত্রে তাপ শােষণকারী

রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং এর ইতিহাস ও মূলনীতি ।

Image
আমরা রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং এর ইতিহাস ও মূলনীতি নিয়ে আলোচনা করব? তো চলুন প্রথমে রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং এর ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করি ইতিহাস: মানুষ পৃথিবীতে স্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে আরামদায়ক স্থান খুঁজে ছিল। এক সময় বরফের সন্ধান পেয়ে প্রচন্ড গরমের তুলনায় আরামদায়ক অবস্থা বা নাতিশীতােষ্ণ মণ্ডলের সন্ধান পেয়ে স্বস্তি পেয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে বেফ্রিজারেশনের আদি ইতিহাস এই সময় হতে শুরু হয়। বরফ প্রাকৃতিক বরফের অভাব ছিল না কিন্তু কতকগুলাে অসুবিধার কারণে প্রাকৃতিক বরফ দ্বারা রেফ্রিজারেশনের ব্যবহার ছিল সীমিত। প্রাকৃতিক বরফের উপর নির্ভরতা কমাতে কৃত্রিমভাবে বরফ তৈরির কৌশল নিয়ে ভাবতে থাকেন। অন্তত একজন গবেষক উদ্ভাবন করেন নিম্ন তাপমাত্রায় বরফের সংস্পর্শে পানিও বরফ হয়। অর্থাৎ পানির সংস্পর্শে এমন একটি উদ্বায়ী পদার্থ রাখতে হবে যার উদ্বায়ী তাপমাত্রা বরফের তাপমাত্রার নিচে।উনবিংশ শতাব্দীর গােড়ার দিকে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ আবিষ্কৃত হবার এক পর্যায়ে বর্তমানে রেফ্রিজারেন্ট বা হিমায়ক আবিষ্কার হয়, যা রেফ্রিজারেশন পদ্ধতির আবিষ্কারের পথ খুলে যায়।১৯১০ সালের প্রথম দিকে মেকানিক্যা